মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। সেই মানুষের কল্যাণেই সভ্যতা আবর্তিত হচ্ছে। আর এই সভ্যতা নির্মাণে প্রকৌশলীরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আধুনিক কালে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে বিভিন্ন্ শাখার প্রকৌশলীগণ বিজ্ঞানের আবিস্কৃত প্রায় সকল সামগ্রীই তাদের কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকেন। বাংলাদেশ একটি ছোট্ট দেশ। কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের অষ্টম স্থানে। ১৮ কোটি সন্তান এদেশের, আর সেই ১৮ কোটি মানুষের রয়েছে ৩৬ কোটি হাত। একটু স্পষ্ট বোঝা যাবে যে, এই ১৮ কোটি মানুষের প্রতি দিন দুই হাতে যদি দুটি কাজ করে তবে একদিনে এদেশের ৩৬ কোটি কাজ সম্পন্ন হবে।
আমরা শুনে থাকি উন্নত দেশগুলো শুধু পরিশ্রম আর পরিচ্ছনতার মাধ্যমে তাদের লক্ষ্যে পেঁৗছেছে। তবে আমরা কি পারি না সেই পরিশ্রম করতে ? যথেষ্ট জনসামর্থ্য আমাদের আছে, কিন্তু অভাব শুধু ব্যবহারিক জ্ঞানের। এর জন্য দায়ী “আমাদের দেশের কারিগরি শিক্ষাকে অবহেলা করা”। এদেশের শিক্ষিত অনেক মানুষ কারিগরি শিক্ষাকে অবহেলা করে।এটা মোটেই শিক্ষিত মানুষের কাজ নয়। কারিগরি শিক্ষায় তাত্ত্বিক পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবহারিক ভাবে দক্ষতা অর্জন করা যায়। যা সাধারণ পড়ালেখায় সম্ভব নয়। লক্ষ্য করুন- জাপান, জার্মান, মালয়শিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালির মত উন্নত দেশগুলোর দিকে। তারা নিজ পরিশ্রম আর কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমেই আজ বিশ্বের মধ্যে অভাব মুক্ত দেশ। দেশের মানুষের যখন অভাব থাকেনা, তখন ঐ দেশটি অভাব মুক্ত হয়।
আবার দেখুন দক্ষিণ কোরিয়ার ৯৬%, সিঙ্গাপুরের ৭৪%, ভারতের ১৭% মানুষ টেকনাক্যাল পড়ালেখা করে থাকে। অন্যদিকে বাংলাদেশের মাত্র ৪% মানুষ টেকনাক্যাল পড়ালেখা করে থাকে। এখন আপিনই বলুন কোন দেশ বেশি উন্নত- বাংলাদেশ ? নাকি দক্ষিণ কোরিয়া ? মালয়শিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদান করেছে ডক্টরেট অব ল ডিগ্রি। তিনি সেখানে মন্তব্য করেছেন “বাংলাদেশ উন্নত হবে কিভাবে, এদেশেরতো টেকনিক্যাল হ্যান্ড নেই”। এ মন্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, কিভাবে ড. মাহাথির মোহাম্মদ এত তাড়াতাড়ি মালয়শিয়াকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করলো।
আপনিও আপনার সন্তানকে টেকনিক্যাল এডুকেশন এ ভর্তি করিয়ে অবদান রাখতে পারেন দেশ, জাতি তথা পরিবারের জন্য। বাংলাদেশ একমাত্র টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ড, “বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড” বিভিন্ন সরকারি/ বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে কারিগরি শিক্ষায় (ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং) শিক্ষিত করার নিরলস প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে।