সভাপতি'র বাণী

Text size A A A
Color C C C C

বাংলাদেশের বিপুল জনসমষ্টি রাষ্ট্রের বড় সম্পদ। সে কথার বাস্তব রূপ তিদে প্রয়োজন জনবলকে জন সম্পদে রূপান্তর করা। এই ক্ষুদ্র কৌশলটি বুঝতে পৃথিবীর উন্নতসব দেশের তুলনায় আমাদের সময় লেগেছে অনেক বেশি। দক্ষ জনশক্তি তৈরির প্রধান নিয়ামক কারিগরি শিক্ষা বা কর্মমূখী শিক্ষা। অর্থাৎ যে শিক্ষা ব্যবস্থা পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞান সমৃদ্ধ তাকে কর্মমূখী শিক্ষা বলে কিংবা যে শিক্ষা গ্রহনের পর িএকজন শিক্ষার্থী সরাসরি কর্মে যোগদান করতে পারে বা অাত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে তাকে কারিগরি বা কর্মশূখী শিক্ষা বলে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে প্রায় সকলের নিকট একটি অবহেলিত শিক্ষা ব্যবস্থা কারিগরি শিক্ষা বা প্রকৌশল শিক্ষা ব্যবস্থা। যেমন ঃ 

দেশের নাম                                       কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত

জাপান                                         কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত (৬০ ভাগ)

জার্মান                                         কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত (৫৮ ভাগ)

মালয়েশিয়া                                   কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত (১৫ ভাগ)

বাংলাদেশ                                    কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত (০৬ ভাগ) 

এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে। কারিগরি শিক্ষা বা কর্মমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা্র প্রচলন শুরু করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে শিল্পায়নের দিকে ধাবিত করতে হবে। বর্তমান বিশ্বের ক্রমবর্ধমান শিল্প বিপ্লবের পিছনে মূল অবদান প্রযুক্তির । নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও বাজারজাতের মাধ্যমে উন্নত দেশ সমূহ এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এসব প্রযুক্তির, আবিষ্কার , ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন দক্ষ প্রকৌশলী বা দক্ষ জনশক্তি। একমাত্র কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে ব্যাপক দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা সম্ভব। বাংলাদেশের যে মুষ্টিমেয় জন গোষ্টি ইতোমধ্যে কারিগরি বা কর্মমূখী  শিক্ষায় শিক্ষিত তাদের বদৌলতে আমরা অনেকদূর এগিয়েছি তা প্রমাণিত । যেমন বাংলাদেশের বস্ত্র/পোষাক খাতের দক্ষ জনসম্পদ তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় বশ্বি বাজার দখল করেছে। এদেশের সফটওয়্যার এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানী হচ্ছে। জাহাজ শিল্প, ঔষধ, চামড়া , গ্লাস ও সিরামিক শিল্পসহ শত শত বাংলাদেশী উৎপাাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানী হয়। এর পিছনের পৃষ্ঠ পোষক প্রায় সকলেই কর্মমূখী শিক্ষা বা প্রকৌশল শিক্ষায় শিক্ষিত । এ দেশের কারিগরি শিক্ষা বা কর্মমূখী শিক্ষা যদি ৪০  থেকে ৫০ ভাগে উন্নতি করা যায় তাহলেই কেবল দেশকে চীন বা কোরিয়ার সমকক্ষ চিন্তা করা সম্ভব হবে। ২০১৭ সালে পাশকরা এস,এস,সি / ভোকেশনাল / দাখিল/ সমমান শিক্ষারী্দের ভবিষ্যতে বেকারত্বের ঝুঁকি না নিয়ে সরাসরি কারিগরি শিক্ষা বা 4 বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় অর্থাৎ কর্মমূখী শিক্ষায় নিজেকে দক্ষ নাগিরিক হিসেবে  গড়ে তোলার এটাই সুযোগ। ধামরাই পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অত্যন্ত দক্ষতার সাথে জনশক্তিকে দক্ষ জন সম্পদে রূপান্তরের নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। 

শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইউসুফ

(সভাপতি)
ধামরাই পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
ধামরাই , ঢাকা-১৩৫০।